এশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম অংশ এবং ইউরোপের সাথে মহাদেশ তৈরি করে। এটি ইউরাল পর্বতমালার পূর্ব opালু প্রান্তরে ইউরোপ থেকে প্রচলিতভাবে পৃথক করা হয়। আর্কটিক মহাসাগর দ্বারা এশিয়া উত্তর থেকে ধুয়েছে এবং বেরিং স্ট্রিট দ্বারা উত্তর আমেরিকা থেকে পৃথক করা হয়েছে। পূর্ব থেকে এটি প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা, দক্ষিণে - ভারত মহাসাগর দ্বারা ধুয়ে নেওয়া হয়। এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে, সীমানাগুলি আটলান্টিক মহাসাগরের সমুদ্রের মধ্য দিয়ে যায় এবং এটি সুয়েজ খাল এবং লোহিত সাগর দ্বারা আফ্রিকা থেকে পৃথক হয়। এত বিস্তীর্ণ অঞ্চলটির কারণে এশিয়া প্রকৃতি এবং জলবায়ুতে বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
এবং এর ফলস্বরূপ, এশীয় দেশগুলির মানুষ বিভিন্ন ধরণের, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে, তাদের নিজস্ব রয়েছে, কখনও কখনও খুব বিরল জাতিগত গোষ্ঠী রয়েছে, বিভিন্ন ধর্মকে বিশ্বাস করে। তাদের গঠন খুব দীর্ঘ সময় আগে শুরু হয়েছিল। এটি এশিয়ায় বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার জন্ম হয়েছিল। আজ পর্যন্ত এর ভূখণ্ডে বিরল উপজাতি রয়েছে যেখানে কয়েকশ মানুষ বাস করে।
মানবতার অর্ধেক
এশিয়ার মানুষ সবচেয়ে বেশি। তাদের মধ্যে, বেশিরভাগই চীনা, বাঙালি, হিন্দুস্তান এবং জাপানি। এটি প্রায় তিন বিলিয়ন মানুষ - বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক।
প্রথম জনবসতি এবং তারপরে প্রথম রাজ্যগুলি হলুদ নদীর তীরে, টাইগার, ফোরাত, সিন্ধুতে উত্থিত হয়েছিল। সেচযুক্ত জমি, জীবনযাত্রার অনুকূল জলবায়ু জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছিল। এশিয়ার লোকেরা জীবনযাত্রার অনুকূল অন্যান্য অঞ্চলগুলিকে বসতি স্থাপন, বসতি স্থাপন শুরু করে। মহান অভিবাসনের যুগে লোকেরা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, এবং পশ্চিমে - ইউরোপেও ঘুরে বেড়াত। সর্বাধিক জনবহুল রয়ে গেছে দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম এশিয়া।
ধর্মের স্বদেশ
পৃথিবীতে অনেক ধর্মের অস্তিত্ব রয়েছে, তবে এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত তিনজনের জন্মস্থান। এটি বৌদ্ধধর্ম, ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্ম। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় খ্রিস্ট ধর্ম প্রথম সহস্রাব্দে উত্থিত হয়েছিল। বিকাশ, এটি বিভিন্ন দিক পর্যন্ত বিভক্ত। সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হ'ল গোঁড়া, ক্যাথলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্টিজম। মুসলমানরা ইসলামের অনুগামী, যা খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে আরব উপদ্বীপে উত্থিত হয়েছিল এবং আরব দেশগুলিতে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে এখন বেশ শক্তিশালী। প্রাচীনতম ধর্ম, বৌদ্ধধর্মের সূচনা খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ায় হয়েছিল এবং এটি এখন পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লোকদের মধ্যে বিস্তৃত।
এশিয়ায় এমন কিছু ধর্ম রয়েছে যা কেবলমাত্র পৃথক দেশের লোকেরা মেনে চলে। এটি হ'ল জাপানি সিনটোজম, ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশী হিন্দু ধর্ম, চাইনিজ কনফুসিয়ানিজম।
এশিয়া অঞ্চলসমূহ
সাধারণভাবে, পাঁচটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল এশিয়া জুড়ে পৃথক করা হয়: উত্তর, দক্ষিণ, মধ্য, পূর্ব এবং পশ্চিম। অঞ্চলগুলির নাম থেকে তাদের সাধারণকরণের নাম এবং এশিয়ার লোকেরা পেয়েছিল। দুটি প্রধান উপজাতি আছে। মঙ্গোলিয় উত্তর ও পূর্ব এশিয়ায় বাস করে, এবং মধ্য এশীয়রা পশ্চিম এবং দক্ষিণে বাস করে। দক্ষিণ-পূর্ব বেশিরভাগই মালয়েশিয়া এবং দ্রাবিড় দ্বারা জনবহুল। এই উপজাতিরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ভাষাগত বৈশিষ্ট্য অনুসারে, এশিয়ার মানুষকে হাইপারবোরিয়ান এবং উচ্চ এশীয়রা প্রতিনিধিত্ব করে। হাইপারবোরিয়ানরা সুদূর উত্তরের বাসিন্দা: কোরিয়াক, চুকচি, চুভাশ, ইউকাগির, কুড়িল দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা, কোট্টা এবং ইয়েনিসেই বসবাসকারী ওস্টিক্স। তাদের বেশিরভাগই এখনও পৌত্তলিক বা রাশিয়ান অর্থোডক্সি গ্রহণ করে।
মঙ্গোলিয়ান ভাষার গ্রুপ
উচ্চ-এশীয় ভাষার গ্রুপটি পালাক্রমে পলিসিলাবিক এবং মনোসিলাবিক ভাষার উপ-গোষ্ঠীতে বিভক্ত। প্রথম উপগোষ্ঠীতে ইউরাল এবং আলতাই রয়েছে। আলটাইয়ানরা হলেন মঙ্গোল, টুঙ্গাস এবং টার্কস। মঙ্গোলগুলি পশ্চিমাঞ্চলে বুড়িয়া এবং কাল্মিক এবং পূর্ব অংশে যথাযথ মঙ্গোলগুলিতে বিভক্ত।
মঙ্গোল এবং কাল্মিকদের ভাষা, সাহিত্য এবং সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল ভারত থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রভাবে। টুঙ্গাসে, চীনা প্রভাব ছিল এবং খুব শক্তিশালী ছিল। তুর্কি ভাষার উপগোষ্ঠীর লোকেরা আরও চারটে পড়ে। প্রথম - সাইবেরিয়ান শহর ইয়াকুটস্কে একটি কেন্দ্র সহ, যার নামটি পেয়েছিল - "ইয়াকুটস" - শহরের নাম থেকে।
পূর্ব টার্কস
দ্বিতীয়টি হ'ল পূর্ব তুর্কি, মধ্য এশিয়ার লোক, প্রাচীন dাডগটাই এবং ইউগুর ভাষায় কথা বলে। আধুনিক মধ্য এশিয়ার ভূখণ্ডে কিরগিজ, কাজাখ, তুর্কমেন, তাজিক ও উজবেকরা বাস করে। আধুনিক গবেষণায় দেখা যায় যে এখানেও চীনের মতো বিশ্ব সভ্যতার গঠনের ঘটনা ঘটেছে। এবং এক শতাব্দী আগে, এই লোকেরা সামন্ত-পিতৃতান্ত্রিক রাজ্যে বাস করত। হ্যাঁ, এবং এখনও শক্তিশালী মধ্যযুগীয় রীতিনীতি এবং traditionsতিহ্য রয়েছে, প্রাচীনদের শ্রদ্ধা, তাদের জাতীয় গোষ্ঠীতে বিচ্ছিন্নতা, অপরিচিতদের প্রতি সতর্কতা। Ditionতিহ্যবাহী পোশাক, আবাসন এবং পুরো জীবন ব্যবস্থা সংরক্ষণ করা হয়েছে। উষ্ণ জলবায়ু এবং শুষ্ক জলবায়ু পরিস্থিতি এই দেশগুলির মানুষের সহনশীলতার বিকাশে, চরম পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার এবং একই সাথে আবেগ এবং অনুভূতিতে সংযম, আর্থ-রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে হ্রাস করে। মধ্য এশিয়ার জনগণের মধ্যে খুব শক্তিশালী উপজাতি এবং - বিশেষত - ধর্মীয় সম্পর্ক রয়েছে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে, ইসলামের তীব্র প্রচার হয়েছিল। এর মূলোৎপাটন দাগমুক্তির সরলতা এবং এর আচারের সরলতা দ্বারা সহজতর হয়েছিল। অপেক্ষাকৃত বড় মানসিক মানসিকতার সাথে মধ্য এশিয়ার লোকেরা অনেকাংশেই স্বতন্ত্র। সুতরাং, প্রাচীন কাল থেকেই কাজাখ এবং কিরগিজরা মঙ্গোলদের মতো ভেড়া ও ঘোড়া বাড়াতে ব্যস্ত ছিল, যাযাবর জীবনযাত্রায় নেতৃত্ব দিয়েছিল, দীর্ঘকাল লোকের কাছ থেকে দূরে ছিল। অতএব যোগাযোগ ও পশুদের প্রতি তাদের সংযম। প্রাচীন কাল থেকেই উজবেকীয় মানুষ বাণিজ্য ও কৃষিতে নিযুক্ত ছিল। অতএব, এটি ভূমি এবং এর সম্পদের প্রতি যত্নশীল মনোভাব সহকারে মিলিত, উদ্যোগী লোক।
আরব-পার্সিয়ান উপগোষ্ঠী
উড়াল তাতাররা, কাজান ও আস্ট্রখানের বাসিন্দা এবং উত্তর ককেশাসের তাদের উপজাতিরা তৃতীয় তুর্কি উপগোষ্ঠী এবং তুর্কি ও অটোমানরা তুর্কি গোত্রের চতুর্থ, দক্ষিণ-পশ্চিম শাখা নিয়ে গঠিত। চতুর্থ ভাষার উপগোষ্ঠীর লোকেরা আরবীয় এবং পার্সিয়ান প্রভাবের অধীনে বিকশিত হয়েছিল। এরা কাংলদের বংশধর যারা সিরি দরিয়া নদীর তীরে বাস করতেন এবং সেলজুক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মঙ্গোলদের চাপের মধ্যে দিয়ে সাম্রাজ্য ভেঙে যায় এবং জনগণ আর্মেনিয়া, তারপর এশিয়া মাইনরে চলে যেতে বাধ্য হয় এবং অটোমানের অধীনে তারা অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। যেহেতু প্রাচীন অটোমানরা পুরোপুরি বেদী বা যাযাবর জীবনযাপন করেছিল, তাই এখন এটি বিভিন্ন বর্ণের মিশ্রণ, যা অন্যান্য তুর্কি জাতির সাথে আত্মীয়তার পরিচয় দেয়। সেলজুক বংশোদ্ভূত ফার্সি ও ট্রান্সকাউসিয়ান তুর্কি খুব মিশ্র, কারণ তাদের সংখ্যা ধারাবাহিক যুদ্ধের ফলে হ্রাস পেয়েছিল এবং তারা জোর করে স্লাভ, গ্রীক, আরব, কুর্দি এবং ইথিওপীয়দের সাথে মিশ্রিত হয়েছিল। সমস্ত জাতিগত বৈচিত্র্যের সাথে, দক্ষিণ-পশ্চিম তুর্কি শাখার লোকেরা একটি শক্তিশালী মুসলিম ধর্ম এবং সংস্কৃতি দ্বারা একত্রিত হয়েছে, যা বাইজেন্টাইন এবং আরব প্রভাব স্থানান্তরিত করেছিল। তুর্কি এবং অটোমান - একটি দৃ people় লোক, গুরুতর, উদ্বেগজনক নয়, কথাবার্তা নয়, অনুপ্রবেশকারী নয়। গ্রামবাসীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং কঠোর, অতিথিপরায়ণ। নগরবাসী অলসতা, জীবন উপভোগ এবং একই সাথে ধর্মান্ধভাবে ধর্মীয় love
মনোসিলাবিক ভাষার গ্রুপ
মঙ্গোলিয়ান ভাষা গোষ্ঠীর দ্বিতীয় বৃহত্তম উপগোষ্ঠী হ'ল চীন, তিব্বত, প্রাচীন হিমালয়ের উপজাতি, বার্মার বন্য উপজাতি, সিয়াম এবং সেইসাথে দক্ষিণ এশিয়ার আদিম মানুষেরা যা আজ অবধি রয়ে গেছে। তারা একটি মনোসিলাবীয় ভাষার গ্রুপ গঠন করে।
তিব্বত, বার্মা এবং সিয়ামে মানুষের বিকাশ ঘটেছিল ভারত ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন সংস্কৃতির প্রভাবে। তবে পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি লোকই চীনের শক্তিশালী প্রভাব অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
মধ্য কিংডমের লোকেরা
চাইনিজরা বিশ্বের প্রাচীনতম মানুষ। এথনোজেনেসিস বেশ কয়েক হাজার বছর ধরে স্থায়ী হয়েছিল। কনফুসিয়ানিজম, বৌদ্ধধর্ম এবং তাওবাদ - ধর্মের তিনটি শিক্ষা রয়েছে। অনেক দেশে এখনও পৈতৃক সম্প্রদায় রয়েছে যা চীনে সমস্ত বিশ্বাসকে ছড়িয়ে দিয়েছে।
বংশগত গ্রামবাসী - বিভিন্ন ধরণের ধান জন্মানা আচানস ইউনান, জিঙ্গপো, দাচং প্রদেশে বাস করেন। আচান জনগণের এইচআই তরোয়ালগুলি চীনে খুব জনপ্রিয়। বাই কৃষকরা ইউনান-গুইঝৌ মালভূমিতে বাস করেন। এই জাতীয়তার লোকদের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং প্রাচীন সংস্কৃতি রয়েছে। হুঙ্কে নদীর তীরে, চীনের ক্ষুদ্রতম মানুষ বাও'ানের লোকেরা কৃষিকাজ ও গবাদি পশুর প্রজননে ব্যস্ত। বুয়ির সংখ্যা দুই মিলিয়নেরও বেশি এবং হুয়াংগুশুহ জলপ্রপাত যে অঞ্চলে অবস্থিত সে অঞ্চলে বাস করে। চা ও তুলা চাষ করেছেন বুলান কৃষকরা। ডোররা নেঞ্জাং নদীর তীরে বাস করে। বিশ শতাব্দী ধরে ইউনান এবং লিঙ্গাং প্রদেশের বাঁশের আবাদে ডেঙ্গি চাষ হচ্ছে। এবং ডান বসতিগুলি জেনিয়ান, জিনপিন এবং তিয়ানজুন অঞ্চলের দৃ fir় বন দ্বারা বেষ্টিত।
