টমাস মাসারিক চেক প্রজাতন্ত্রের একজন সত্যিকারের নায়ক। তিনি ছিলেন আন্দোলনের নেতা, যার লক্ষ্য ছিল চেকোস্লোভাকিয়ার স্বাধীনতা অর্জন। রাজ্যটি তৈরি করে, তিনি এর প্রথম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন এবং ১৯১৮ থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত এই গঠন পরিচালনা করেছিলেন।
এই কিংবদন্তি মানুষটি তার অসামান্য গুণাবলীর জন্য সমস্ত কিছু অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। নিবন্ধ থেকে আপনি তার পরিবার, পড়াশোনা, স্ত্রী, সামাজিক কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আরও শিখতে পারেন। চেক সমাজবিজ্ঞানী এবং দার্শনিক বহু উপায়ে তাঁর লোকদের জীবন বদলে দিয়েছিলেন, যার জন্য তাঁকে "ফাদার" ডাকনাম দেওয়া হয়েছিল।
দার্শনিকের পরিবার
টমাস মাসারিক জন্মগ্রহণ করেন 03.03.1850 তে মোরাভিয়ায় (সেই সময় অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্য)। তাঁর পরিবার সাধারণ শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাবার নাম জোসেফ (জীবনের বছর 1823-1907)। জাতীয়তার দ্বারা, তিনি হাঙ্গেরি থেকে স্লোভাক ছিলেন। মায়ের নাম তেরেসা (জীবনের বছর 1813-1887)। মেয়ে হিসাবে তাঁর নাম ছিল ক্রোপচকোভা এবং জাতীয়তার ভিত্তিতে ছিলেন মোরাভিয়ার এক জার্মান স্থানীয়।
জোসেফ মাসারিকের জমি বা এমনকি নিজস্ব বাড়িও ছিল না। যৌবনে, তাকে বড় খামারে কাজ করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, এবং জন্মের পরে, টমাস একজন কোচম্যান হয়েছিলেন। পরিবারটি একটি সার্ভিস হাউসে থাকত। জোসেফ স্কুলে যায় নি, তাই সে কষ্ট সহকারে পড়ল। তদুপরি, তিনি একটি দৃ strong় চরিত্রযুক্ত খুব গর্বিত মানুষ, তার মালিকদের সাথে তর্ক করতে ভয় পান না not অতএব, তাকে ক্রমাগত চাকরি পরিবর্তন করতে হয়েছিল, এক সম্পত্তি থেকে অন্য সম্পত্তিতে চলে যেতে হয়েছিল।
তোমাশ নিজেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর বাবা একজন দক্ষ, তবে সাধারণ মানুষ ছিলেন, তাই বাড়িতে তাঁর মা ছিলেন প্রধান। যৌবনে তেরেসা ভিয়েনায় কাজের মেয়ে হিসাবে ধনী ঘরে রান্না করার কাজ করত। যেহেতু তার আদি গ্রামটি পুরোপুরি জার্মানীকৃত, তাই তিনি কেবল জার্মান ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতেন। অনেক পরে, যখন তার সমস্ত পুত্র জনসাধারণের ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন, তিনি তাঁর সাথে স্লোভাক ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি সফল হন নি।
পরিবারটি জার্মান ভাষায় কথা বলত, তবে তার বাবা প্রায়শই আঙ্গিনায় টমাসজের মতো স্লোভাকের দিকে চলে আসতেন, তাঁর সমবয়সীদের সাথে খেলতেন।
অধ্যয়নের সময়কাল
ছয় বছর বয়সে টমাস মাসারিক একটি গ্রামীণ স্কুলে পড়াশোনা করতে যান। তিনি ভাল একাডেমিক সাফল্য দেখিয়েছেন, তাই শিক্ষক তার পিতামাতাকে তাকে উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারা ঠিক তাই করেছে। ছেলেটি 1863 সালে এটি শেষ করে দেশে ফিরেছিল। এখানে তিনি শিক্ষককে সাহায্য করতে, সংগীত শিখতে, পড়তে শুরু করেছিলেন। কেবলমাত্র ষোল বছর বয়সী শিক্ষকের সেমিনারে গৃহীত হয়েছিল, এবং তোমাশ মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সী ছিল, তাই তার মা সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষানবিশ হিসাবে একটি লকস্মিথ ব্যবস্থা করার জন্য তাকে ভিয়েনায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাস্টার বাড়িতে, ছেলে খামারে কাজ সম্পাদন করে। একদিন এক শিক্ষার্থী তার বই চুরি করে বিক্রি করেছিল। এটিই শেষ খড় এবং যুবক মাসারিক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেল। অভিভাবকরা তাকে একটি কামারকে ছাত্র হিসাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাই আর এক বছর কেটে গেল।
টমাসের জীবনে গ্রামের পুরোহিতের ভূমিকা
প্রতিটি মহান মানুষের জীবনে এমন মুহুর্ত থাকে যা তার ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ করে। টমাস মাসারিক এ থেকে বাঁচেনি। তার জীবন সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্যগুলি গ্রামের পুরোহিতের উল্লেখ না করেই অসম্পূর্ণ হবে। এটিই ফ্রাঞ্জ স্যাটার ছিলেন যিনি ছেলেটিকে তার বই পড়তে দিয়েছিলেন, তাকে লাতিন শিখিয়েছিলেন এবং তার বাবা-মাকে বোঝান যে তার ছেলেকে আরও শিখতে দিন further পুরোহিত সেই যুবককে পরীক্ষাগুলিতে সহায়তা করেছিলেন এবং তিনি জার্মান জিমনেসিয়ামের দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। সুতরাং, পনের বছর বয়সে তিনি ব্রনো শহরে চলে আসেন।
বাবা-মা যুবকের কাছে অর্থ প্রেরণ করেননি, তাই তাকে বাধ্য হয়ে বাধ্য করা হয়েছিল গৃহশিক্ষক এবং পরে পুলিশ প্রধানের ছেলের জন্য হোম শিক্ষক। এই যুবকটি নিখরচায় জিমনেসিয়ামে অধ্যয়ন করেছিলেন এবং অন্যান্য জিমনেসিয়াম শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্দান্ত কর্তৃত্ব উপভোগ করেছিলেন। একই সময়ে, চেক জাতির পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে ধারণাগুলি তার মধ্যে নিহিত ছিল। পরিচালকের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে টমসজ কখনও এই জিমনেসিয়াম থেকে স্নাতক হন না।
মাসারিক কীভাবে একটি মধ্যম নাম পেলেন
পুলিশ প্রধান, যার পুত্রকে মাসারিক প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন, তিনি পদোন্নতি নিয়ে ভিয়েনায় চলে এসেছিলেন। তিনি যুবককে রাজধানীর জিমনেসিয়ামে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছিলেন। তাঁর প্রেমিক বাইশ বছর বয়সে 1872 সালে স্নাতক হন। তারপরে তিনি ভিয়েনার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর অর্জন করতে সক্ষম হন, শব্দতাত্ত্বিক ও দার্শনিক অনুষদে একযোগে অধ্যয়ন করেছিলেন। কয়েক বছরের মধ্যে তিনি দর্শনের ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হয়ে উঠবেন।
স্নাতক স্কুলে অধ্যয়নকালে, এই যুবকের সাথে আমেরিকান শার্লোট গ্যারিগের দেখা হয়েছিল met তিনি ছিলেন নিউ ইয়র্কের এক ব্যাংকারের কন্যা। বাবা তাদের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং মাসারিক যৌতুক প্রত্যাখ্যান করার পরেই বিয়ের অনুমতি দিয়েছিলেন। টমসের উপার্জনটি ব্যবহার করে যুবকরা বিনয়ী জীবনযাপন করতেন। তাই টমাস গ্যারিগ মাসারিক নামটি উপস্থিত হয়েছিল। স্ত্রীর সম্মানে তিনি মধ্যম নাম নিলেন। শার্লোট চারটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এবং চেক শিখলেন।
স্ত্রী তার নির্বাচিত একজনকে অর্থের যোগান দেয়নি, তবে সব কিছুতে তাকে সহায়তা করেছিলেন। এমনকি স্বামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি অস্ট্রিয়ান কারাগারে বেশ কয়েক মাস অতিবাহিত করেছিলেন। এবং শার্লোটের পরিবার তার কন্যাকে এখনও কিছুই ছাড়েনি। দম্পতি মাসারিক যখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন, তখন টমাস তার শ্বশুরবাড়ির সাথে কাজ করতেন, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলতেন, আমেরিকার অন্যতম রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন সহ।
চেক প্রশ্ন
তার রাজনৈতিক মতামতের কারণে, টমাস মাসারিক ভিয়েনায় অধ্যাপক হওয়ার আশা করতে পারেননি। 1882 সালে, যখন সাম্রাজ্য প্রশাসন চেক প্রজাতন্ত্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি দিয়েছিল, তখন এটি তাঁর জন্য একটি মুক্তির কাজ ছিল। তিনি চেক প্রজাতন্ত্রে চলে এসেছিলেন এবং অ্যাথেনিয়াম ম্যাগাজিন প্রকাশসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত হন।
চেক প্রজাতন্ত্রটিতে তখন দুটি প্রধান দল ছিল - কনিষ্ঠ এবং প্রবীণ। উভয় সংস্থার প্রতিনিধি দার্শনিকের ক্রিয়াকলাপ এবং চিন্তাভাবনা আলিঙ্গন করেছিলেন। তারা তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে মানতে চায়নি, তবে সময়ের সাথে সাথে টমাস তার দৃষ্টিভঙ্গির যথার্থতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিল এবং সমাজে এমন কর্তৃত্ব অর্জন করেছিল যে উভয় পক্ষই তাদের তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করতে চাইবে। সুতরাং, তারা সাম্রাজ্যের সংসদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব ভোট পাওয়ার আশা করেছিল।
মাসারিক জনগণের সামনে নিজের ভাষা ও সংস্কৃতি দিয়ে একটি চেক রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্ন জনগণের সামনে তুলে ধরারও চেষ্টা করেছিলেন। অধিকন্তু, তিনি কখনই জার্মান সংস্কৃতির বিপক্ষে ছিলেন না, বিশ্বাস করে যে বিভিন্ন সংস্কৃতি দিয়ে সমৃদ্ধ করা চেকদের আরও উন্নত ও বহুমুখী জাতিতে পরিণত করবে।
1891 সাল থেকে, একজন রাজনীতিবিদ বহুবার সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন (চেক এবং সাম্রাজ্য)। তিনি রিয়ালিস্ট পার্টি এবং তারপরে পিপলস চেক পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
বিরোধী দল
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে, রাজনীতিবিদকে উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। চেক প্রজাতন্ত্রে, তার কার্যক্রমগুলি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ased টমাস মাসারিককে তার নিজের জমি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।
তিনি অস্ট্রিয়ান যুদ্ধ নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন। মাসারিক দেখেছিলেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন যে চেকদের পক্ষে স্লাভদের বিরুদ্ধে লড়াই করা কতটা কঠিন। সে কারণেই তিনি অস্ট্রিয়ান বিরোধী ভূগর্ভস্থ তৈরি করেছিলেন।
একই সময়ে, তোমাশ গারিক মাসারিক রাশিয়া সম্পর্কে দ্বিধাহীন ছিলেন। তিনি চেক রাজ্য গঠনের ক্ষেত্রে তাকে সত্যিকারের সহযোগী হিসাবে দেখেননি, যদিও তিনি বহুবার সেখানে ছিলেন, ম্যাক্সিম গোর্কি, লিও টলস্টয়ের সাথে কথা বলেছেন।
রাজনীতিবিদ ব্রিটেন, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিত্রদের দেখেছিলেন। এই শক্তিগুলিই চেকোস্লোভাক ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠনের স্বীকৃতি দেয়, যার নেতৃত্বে ছিল মাসারিক।
1917 সালে তিনি কিয়েভে থাকতেন, যেখানে তাঁর কাউন্সিলটি ছিল। রাজনীতিবিদ প্রায়শই মস্কো এবং পেট্রোগ্রাদ ভ্রমণ করতেন, তিনি এই তিনটি শহরে বলশেভিকরা কীভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন তার সাক্ষী হয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে
টমাস মাসারিক এবং চেকোস্লোভাকিয়া গঠনের সাথে সংযুক্তি রয়েছে। তাঁর জীবদ্দশায়, তাঁর নামটি ব্যক্তিত্বের একটি সংস্কৃতিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে - তাকে মুক্ত চেকোস্লোভাকিয়ার আধ্যাত্মিক নেতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
রাজনীতিবিদ অ্যাংলো-আমেরিকান সংস্কৃতির ভক্ত ছিলেন। তিনি উদার বহুদলীয় গণতন্ত্র তৈরি করতে চেয়েছিলেন। মাসারিকের রাষ্ট্রপতিত্ব ছিল মানবতাবাদী। তিনি রাষ্ট্রীয় নীতিতে জাতীয় সংখ্যালঘুদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন।
রাজনীতিবিদ 04/01/1934 অবধি স্ট্রোকের দ্বারা আক্রান্ত না হওয়া অবধি রাষ্ট্রের নেতৃত্বে ছিলেন। এক বছর পরে পঁচাশি বছর বয়সে তিনি এই নিয়ম তাঁর শিষ্য ও অনুসারী ই বেনেসের হাতে তুলে দেন। 14 ই সেপ্টেম্বর, 1937 তে তাঁর জীবনীটি শেষ হয়েছিল: টমাস মাসারিক মারা গেলেন এবং এক বছর পরে তাঁর তৈরি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বন্ধ হয়ে গেল।
