আধুনিক বিভিন্ন দার্শনিক মতবাদের বিদ্যমান বৈচিত্রগুলি আবারও নিশ্চিত করে যে মানব চরিত্র, প্রকার ও ক্রিয়াকলাপের বৈচিত্র্য যত বেশি, তত বেশি আকর্ষণীয় এবং কম অনুরূপ দার্শনিক দিকগুলি উত্থিত হয়। দার্শনিকের দৃষ্টিভঙ্গি পার্থিব জীবনে তিনি যা করেন তার উপর সরাসরি নির্ভর করে। দর্শনের ক্ষেত্রে বহুবচন হ'ল মানব ক্রিয়াকলাপের বৈচিত্র্যের কারণে উত্পন্ন এক দিক।
দার্শনিকদের মধ্যে পার্থক্য
দার্শনিকদের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মৌলিক বিভাগ হ'ল বস্তুবাদী এবং আদর্শবাদীদের মধ্যে। বস্তুবাদীরা তাদের পর্যবেক্ষণের বিষয়গুলি প্রকৃতির "প্রিজম" এর মাধ্যমে দেখে। আদর্শবাদীদের পর্যবেক্ষণের মূল বিষয়গুলি হ'ল মানব আধ্যাত্মিক, সামাজিক জীবনের সর্বোচ্চ রূপ। আদর্শবাদ দুই প্রকার: উদ্দেশ্য - ভিত্তি হ'ল সমাজের ধর্মীয় জীবন পর্যবেক্ষণ; এবং বিষয়গত - ভিত্তিটি কোনও ব্যক্তির আধ্যাত্মিক জীবন। বস্তুবাদীরা বিশ্ব থেকে মানুষের মনে যায় এবং আদর্শবাদীরা মানুষ থেকে বিশ্বে চলে যায়।
বস্তুবাদীরা যদি নিম্নের মধ্য দিয়ে উচ্চতরটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে তবে আদর্শবাদীরা বিপরীত দিক থেকে চলে যায় এবং নীচেরটিকে নীচের দিক দিয়ে ব্যাখ্যা করে।
যেহেতু দর্শনে বহুত্ববাদ এমন একটি বিশ্বের বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি যা যেখানে আদ্যক্ষরগুলির বৈচিত্র্য একে অপরের বিপরীত, তাই দার্শনিকদের অন্যান্য দলগুলির অন্যান্য ধরণের বিশ্বদর্শনগুলি চিনতে সক্ষম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ important তাদের মধ্যে পার্থক্যগুলি আরও ভালভাবে বোঝার জন্য এটি প্রয়োজনীয়। দার্শনিকদের আরও একটি বিভাগ রয়েছে - অযৌক্তিক, যুক্তিবাদী এবং অভিজ্ঞতাবাদীদের মধ্যে।
"যুক্তিবাদ" শব্দটি ফরাসি থেকে যুক্তিবাদী হিসাবে অনুবাদ করা হয়, এই শব্দটি লাতিন যুক্তি থেকে এসেছে, যা ঘুরে ফিরে লাতিন অনুপাত থেকে আসে। অনুপাত মানে বুদ্ধি। এটি এ থেকে অনুসরণ করে যে যৌক্তিকতার ধারণাটি দৈনন্দিন জীবনে কারণের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা প্রচার করে। এবং অযৌক্তিকতা, বিপরীতে, মানব জীবনে কারণের উচ্চ তাত্পর্যকে প্রত্যাখ্যান করে।
যুক্তিবাদীরা অর্ডার ব্যক্ত করে। তারা জ্ঞানের সাহায্যে নিখুঁতভাবে সমস্ত অজানা এবং অজানা ব্যাখ্যা করতে প্রস্তুত।
অযৌক্তিকবাদীরা জীবনের একটি বিশৃঙ্খল দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ করে, কোনও কিছুর অনুমতি দেয় এমনকি সবচেয়ে অবিশ্বাস্য। এই ধরনের লোকেরা প্যারাডক্স, ধাঁধা এবং রহস্যবাদ পছন্দ করে। অজানা এবং অজ্ঞতার সুযোগ তাদের কাছে জীবনের একটি মৌলিক ধারণা।
অভিজ্ঞতাবাদ হ'ল অতিরঞ্জিত, মানব অভিজ্ঞতার নিখুঁততা এবং চিন্তার চূড়ান্ত উপায়। এটি একটি মধ্যবর্তী ধারণা, যুক্তিবাদ এবং অযৌক্তিকতার মধ্যে একটি সেতু।
দর্শনে বহুবচন
দুর্ভাগ্যক্রমে, দর্শনের ক্ষেত্রে উত্তরগুলি খুঁজে পাওয়া সর্বদা সম্ভব নয় কারণ এই বিজ্ঞানটিও সব ধরণের দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হয়। দর্শনের পক্ষে একটি সুনির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া যে পক্ষে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলির মধ্যে একটি হ'ল: "পৃথিবীর কত গভীর ভিত্তি রয়েছে?" দু'একজন, নাকি আরও কিছু? এই চিরন্তন প্রশ্নের উত্তর সন্ধানের প্রক্রিয়ায় তিন ধরণের দর্শন তৈরি হয়েছিল: একত্ববাদ, দ্বৈতবাদ, বহুবচনবাদ।
দর্শনে বহুত্ববাদ হ'ল বিপুল সংখ্যক ইন্টারঅ্যাক্টিং নীতি এবং উপাদানগুলির বিশ্বে অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি দর্শন। আধ্যাত্মিক জীবনের ক্ষেত্রগুলি বর্ণনা করতে "বহুবচনবাদ" শব্দটি (লাত্ত্বিক শব্দ থেকে বহুবচন - বহুবচন) ব্যবহৃত হয়। বহুত্ববাদ প্রতিদিনের জীবনে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, একটি রাজ্যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতামত এবং দলগুলির অস্তিত্ব অনুমোদিত। একযোগে পারস্পরিক একচেটিয়া দর্শনের অস্তিত্বও বহুবচন দ্বারা অনুমোদিত। বহুত্ববাদই এটাই। বহুত্ববাদের সংজ্ঞা অত্যন্ত সহজ, বেশ কয়েকটি ধারণা, নীতি এবং কারণগুলির অস্তিত্ব একজন ব্যক্তির পক্ষে স্বাভাবিক এবং এটি সাধারণের বাইরে কিছু নয়।
একজন সাধারণ মানুষের জীবনে বহুবচন
যদি আপনি পিছনে ফিরে তাকান, বহুজীবিতা সাধারণ দৈনন্দিন জীবনে পাওয়া যায়। আমি কী বলতে পারি, তিনি সর্বত্র আছেন। উদাহরণস্বরূপ, রাষ্ট্রের বোঝার ক্ষেত্রে বহুবচন ইতিমধ্যে সকলের কাছে পরিচিত। প্রায় প্রতিটি দেশে একটি সংসদ রয়েছে যার মধ্যে এক থেকে একাধিক দল উপস্থিত থাকতে পারে। তাদের বিভিন্ন কাজ রয়েছে এবং প্রশাসন এবং সংস্কার প্রকল্পগুলি একে অপরের থেকে আমূলভাবে পৃথক হতে পারে। রাজনৈতিক শক্তির এ জাতীয় বৈচিত্র্য এবং তাদের প্রতিযোগিতা একেবারে আইনী এবং স্বার্থের সংঘাত, বিভিন্ন দলের সমর্থকদের মধ্যে আলোচনা অস্বাভাবিক নয়। সংসদে বিভিন্ন শক্তির অস্তিত্বের বাস্তবতাকে বহুপদী ব্যবস্থা বলা হয়। এটি রাষ্ট্রের বোঝার বহুত্ববাদ।
দ্বৈতবাদ
দ্বৈতবাদ একটি দার্শনিক বিশ্বদর্শন যা বিশ্বের দুটি বিপরীত নীতিগুলির প্রকাশকে দেখায়, যার মধ্যে লড়াই আমাদের চারপাশে যা পর্যবেক্ষণ করে তা তৈরি করে এবং এটি বাস্তবতাও তৈরি করে। এই বিরোধী সূচনার অনেকগুলি অবতার রয়েছে: গুড অ্যান্ড এভিল, ইয়িন এবং ইয়াং, নাইট অ্যান্ড ডে, আলফা এবং ওমেগা, পুরুষ এবং মহিলা, লর্ড এবং দ্য ডেভিল, হোয়াইট অ্যান্ড ব্ল্যাক, স্পিরিট এবং ম্যাটার, হালকা এবং অন্ধকার, বিষয় এবং অ্যান্টিমেটার ইত্যাদি has ঙ। অনেক দার্শনিক এবং দার্শনিক স্কুলগুলি দ্বৈতবাদের বিশ্বদর্শনকে তাদের ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করেছে। ডেসকার্টস এবং স্পিনোজার মতে দ্বৈতবাদ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। এমনকি প্লেটো এবং হেগেলের সাথেও, মার্কসবাদে ("শ্রম", "মূলধন") যে কোনও ব্যক্তি দুটি বিপরীতে এরকম একটি বিশ্বদর্শন দেখা করতে পারে। সুতরাং সুস্পষ্ট পার্থক্যের কারণে বহুত্ববাদের ধারণা দ্বৈতবাদ থেকে কিছুটা আলাদা।
সংস্কৃতিতে বহুত্ববাদ
রাজনীতি ছাড়াও বহুবচন মানব জীবনের অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে যেমন সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে। সাংস্কৃতিক বহুবচন বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং আধ্যাত্মিক শাখার অস্তিত্বের অনুমতি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, খ্রিস্টধর্ম ক্যাথলিক, গোঁড়া ও প্রোটেস্ট্যান্টিজমে বিভক্ত। গির্জার এই অসুবিধা মানুষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বহুত্ববাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। বহুবচনবাদ অনুমান করে যে জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠীর নিজের এবং তাদের সাংস্কৃতিক প্রয়োজন উপলব্ধি করার অধিকার রয়েছে। একটি নিয়ম হিসাবে, কোনও ব্যক্তি নির্দ্বিধায় নিজেকে প্রকাশ করতে পারে এবং তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলির সাথে সম্মান করে তার মান অভিমুখকে রক্ষা করতে পারে। আদর্শিক বহুত্ববাদ আইনত বৈধতা নিশ্চিত করে যে রাষ্ট্র আদর্শিক বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দেয় এবং কোনও একক আদর্শ নেই।
অদ্বৈতবাদ
এই বিশ্ব দর্শনের ভিত্তি হ'ল একমাত্র শুরুর অস্তিত্বের ধারণা। মনবাদবাদ বস্তুবাদী বা আদর্শবাদী হতে পারে। সংকীর্ণ অর্থে, দর্শনে বহুত্ববাদ একটি দার্শনিক ধারণা, একত্ববাদের বিপরীত, যেখানে অনেক সমতুল্য স্বতন্ত্র সত্তা রয়েছে যা একটি নির্দিষ্ট সূচনার একেবারে হ্রাস পায় না, কেউ বলতে পারেন, একে অপরের বিপরীতে, একেবারেই ভিন্ন। প্রথম আকারে, তিনি কেবল বিষয় বিবেচনা করেন এবং দ্বিতীয় সংহত ভিত্তিতে তিনি ধারণা, অনুভূতি, চেতনা নিশ্চিত করে। অন্যদিকে মনোজম হ'ল.ক্যের মতবাদ, যা এটিকে "দার্শনিক বহুবচন" এর মত ধারণা থেকে একেবারে দূরে সরিয়ে দেয়।
ব্যবহারিক দর্শন
ব্যবহারিক দর্শন চিন্তাভাবনা এবং যোগাযোগের মাধ্যমে ভাল উদ্দেশ্য অনুসরণ করে, লোকেদেরকে সঠিক কাজ ও কর্মের দিকে প্ররোচিত করে এবং ভুলভ্রান্তি, নেতিবাচক রঙিন, ভুল ক্রিয়া থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়। সহজ কথায়, ব্যবহারিক দর্শন চিন্তাভাবনার শক্তিটি সরাসরি মানুষের যোগাযোগকে সহজ যোগাযোগের প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত করতে সক্ষম।
বহুবচনবাদের বৈশিষ্ট্য
মজার বিষয় হল, "বহুত্ববাদ" শব্দটি এইচ। ওল্ফ 1712 সালে চালু করেছিলেন। দর্শনের ইতিহাসে এগুলি প্রায়শই সামঞ্জস্যপূর্ণ বহুবচন যেমন পূরণ করা সম্ভব হয় না, উদাহরণস্বরূপ, সামঞ্জস্যপূর্ণ এককবাদ। জনসমাজের ক্ষেত্রে বহুবচন খুব সাধারণ, যেমন ইতিমধ্যে বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। আদর্শিক বহুত্ববাদ আইনের স্বীকৃতি এবং একীকরণে অবদান রাখে, বিশেষত সংবিধানে, আদর্শিক শিক্ষার বৈচিত্র্য, অবশ্যই যদি তারা সহিংসতার আহ্বান না করে তবে জাতীয় বা অন্য মতবিরোধকে উদ্বুদ্ধ করবেন না। একটি উচ্চারিত রাষ্ট্র কাঠামো তার নিছক অস্তিত্বের সাথে বহুত্ববাদের নীতিকে নিশ্চিত করে। অনেকে বিশ্বদর্শনের এই প্রসারণকে এই কারণটির জন্য দায়ী করেন যে তাদের মতামতের মতো একটি দুর্দান্ত প্রচুর লোক রয়েছে এবং সাংস্কৃতিক, মান এবং historicalতিহাসিক পার্থক্যের কারণে তাদের সকলেই বেশ বৈচিত্র্যময়।
কৌতুকবিদ এবং সংশয়ী
দার্শনিকরাও গোড়ামীবাদী এবং সংশয়ীদের মধ্যে বিভক্ত। কৌতূহল দার্শনিকরা এতে ভাল যে তারা উভয়ই তাদের ধারণাগুলি বিকাশ করতে পারে এবং অন্যকে প্রকাশ করতে পারে, তাদের চিন্তাভাবনা নয়। তারা ইতিবাচক, সার্থক, গঠনমূলক দার্শনিকতার চেতনায় একটি নিয়ম হিসাবে তাদের সম্পর্কে সমর্থন করে এবং তর্ক করে। তবে সংশয়বাদী দার্শনিকরা কুত্সিত দার্শনিকদের ঠিক বিপরীত। তাদের দর্শন সমালোচনামূলক, ধ্বংসাত্মক। এগুলি ধারণা তৈরি করে না, কেবল অপরিচিতদের সমালোচনা করে। ডগমেটিক দার্শনিকরা দার্শনিক, উদ্ভাবক বা এক্সপোজার। সংশয়বাদী দার্শনিকরা ভাস্কর, ক্লিনার, আপনি তাদের আর একটি সংজ্ঞা দেবেন না।
সাবজেক্টিভিস্ট, অবজেক্টিস্ট, মেথডোলজিস্ট
সাবজেক্টিভিস্ট, অবজেক্টিভিস্ট এবং মেথোলজিস্টরা বিশেষ মনোযোগের প্রাপ্য। অবজেক্টিভিস্ট দার্শনিকরা মূলত বিশ্ব ও সমাজের সমস্যা এবং অপূর্ণতাগুলির দিকে মনোনিবেশ করেন। এই জাতীয় দার্শনিকদের মধ্যে বস্তুবাদী, অনটোলজিস্ট, প্রাকৃতিক দার্শনিক অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাবজেক্টিভিস্ট দার্শনিকরা আরও সংকীর্ণভাবে সমাজ, সমাজ এবং বিশেষত মানুষের সমস্যার দিকে মনোনিবেশ করেন এবং মনোনিবেশ করেন। বেশিরভাগ দার্শনিক, জীবনের দার্শনিক, অস্তিত্ববাদী, উত্তর আধুনিকতাবাদীরা এ জাতীয় দার্শনিকদের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। পদ্ধতিগত দার্শনিকরা মানুষের ক্রিয়াকলাপের ফলাফলগুলির ফর্মগুলির সুবিধাগুলি বুঝতে পারেন। তিনি যা কিছু আবিষ্কার করেন, পিছনে ফেলে যান এবং মানুষ তার দ্বারা ছেড়ে চলে যাবে, সেগুলিই কার্যকলাপের ক্ষেত্র এবং দার্শনিক এবং পদ্ধতিবিদদের আলোচনার ভিত্তি। এর মধ্যে রয়েছে নেওপোসিটিভিস্ট, প্র্যাকমেটমিস্ট, পজিটিভিস্ট, পাশাপাশি ভাষাতত্ত্বের দর্শনের প্রতিনিধি, বিজ্ঞানের দর্শনের অন্তর্ভুক্ত।
ক্লাসিক বহুবচন
এম্পেডোক্লসকে একটি ক্লাসিক বহুবচনবিদ হিসাবে বিবেচনা করা হয় যিনি দুটি স্বতন্ত্র নীতিকে স্বীকৃতি দেন। তাঁর শিক্ষায়, পৃথিবীটি পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত এবং চারটি উপাদান দ্বারা গঠিত হয়েছে - জল, পৃথিবী, বায়ু এবং আগুন। এগুলি চিরন্তন এবং অপরিবর্তনীয়, এবং তাই একে অপরকে প্রভাবিত করে না এবং একে অপরের মধ্যে রূপান্তরগুলি তাদের পক্ষে অস্বাভাবিক। এই তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করে যে পৃথিবীতে চারটি উপাদানের মিশ্রণের মাধ্যমে সবকিছু ঘটে। মূলত, দার্শনিক বহুত্ববাদ একটি তত্ত্বের স্বাভাবিক অসুবিধা এবং এটি কেবলমাত্র যৌক্তিক উপায়ে ব্যাখ্যা করতে না পারলে তার অবলম্বন করা হয়।
সমাজে বহুবচন
অদ্ভুতভাবে যথেষ্ট, তবে সমাজের জন্য একজন ব্যক্তির জন্য বায়ুর মতো বহুবচন প্রয়োজনীয়। সমাজকে একটি সাধারণ অবস্থায় থাকতে এবং সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এটিতে বিভিন্ন গোষ্ঠী সম্পূর্ণ ভিন্ন মত, আদর্শিক নীতি এবং ধর্মের সাথে থাকা প্রয়োজন। তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হ'ল অসন্তুষ্টির মুক্ত সমালোচনার সম্ভাবনাও কম প্রয়োজনীয় নয় - যেমন তারা বলে, সত্য একটি বিবাদে জন্মগ্রহণ করে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর এই অস্তিত্ব বিশ্বজুড়ে অগ্রগতি, দর্শন, বিজ্ঞান এবং অন্যান্য শাখার বিকাশে অবদান রাখে।
দার্শনিকদের আরও একটি ছোট গ্রুপ রয়েছে যা কোনও নির্দিষ্ট দিকের জন্য দায়ী করা কঠিন। এগুলিকে খাঁটি দার্শনিক বা ট্যাক্সনোমিস্ট, ব্যাপক দার্শনিক ব্যবস্থার স্রষ্টাও বলা হয়। তারা শব্দের সুবোধে সর্বজ্ঞ। তাদের পরিবর্তে সুষম সহানুভূতি-বিরোধিতা রয়েছে এবং তাদের মতামত এবং আগ্রহগুলি বিভিন্ন দিকে পরিচালিত হয়। এই সমস্ত মোতলী সংস্থার মধ্যে, তারাই দার্শনিক - জ্ঞান, জ্ঞানের জন্য প্রয়াসী লোকদের উপাধি প্রাপ্য। জীবন জানা, এটিকে যেমন মনে হয় তেমনি অনুভব করা এবং এক মুহুর্তও মিস না করা তাদের মূল লক্ষ্য। বহুত্ববাদ বা মনবাদবাদ তাদের পক্ষে স্বতঃপ্রকাশ নয়। তারা খণ্ডন করতে চায় না, তবে সবকিছু এবং সমস্ত কিছু বুঝতে চায়। তারা তথাকথিত দার্শনিক শৌখিনতা।
