আনভার লিবাবোভ একজন সোভিয়েত থিয়েটার অভিনেতা এবং ক্লাউন। তিনি অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, যার মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়: “ইন্সপেক্টর কুপার। অদৃশ্য শত্রু "(2017), " গোগল। Wii "(2018), " গোগল। ভয়াবহ মৃত্যু "(2018), " হফম্যানিয়াড "(2018), " কমিসার "(2017), " শমন। নতুন হুমকি ”(২০১))।
আনোয়ার লিবাবোভের সংক্ষিপ্ত জীবনী
এই অভিনেতার জন্ম ১৯৫৮ সালের ২ শে মে নিজনি তাগিল মাইক্রোডিস্ট্রিক্টে আধুনিক পদবী অনুসারে। তাঁর এক বোন এবং তিনজন দ্বিতীয় কাজিন। আনভার লিবাবোভের পরিবার দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করত, তাই ছেলেটি স্কুল থেকে বস্তুগত সহায়তা হিসাবে প্রাপ্ত জিনিসগুলি পরত। এগুলি বেশ কয়েকটি আকারের বৃহত আকারে সেলাই করা হয়েছিল, সুতরাং আনোয়ার তাদের মধ্যে খুব আরামদায়ক ছিলেন না। এছাড়াও, এই কারণে সহপাঠীরা তাকে দেখে হেসেছিল, কারণ পোশাকটি আক্ষরিকভাবে তার পাতলা চিত্রের উপর ঝুলিয়ে রেখেছিল। তবে তিনি মোটেও বিরক্ত হননি, বরং সবাইকে হাসানোর চেষ্টা করেছিলেন। জাতীয়তার দ্বারা, আনভার লিবাবোভ একটি তাতার।
স্নাতক শেষ করার পরে, তিনি ভেটেরিনারি স্কুলে প্রবেশ করেন, যা তিনি ১৯ 1977 সালে অনার্স সহ স্নাতক হন। 1982 সালে, তিনি লেনিনগ্রাদের ভেটেরিনারি ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হন, তারপরে তাকে ক্যালিনিন অঞ্চলে একটি বিশেষায়িত কাজের জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল।
1981 সাল থেকে আনোয়ার লিবাবভ প্যানটোমাইম স্কুল-স্টুডিওতে পড়াশোনা করেছেন। স্পষ্টতই, এই পেশা তাকে আরও আকৃষ্ট করেছিল, কারণ 1987 সালে তিনি একজন পশুচিকিত্সকের পেশা ছেড়ে "লিসিয়াম" নামে একটি থিয়েটারে এক ক্লাউনে পরিণত হন, যেখানে ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি সাধারণ পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৩ সালে, একজন পরিচালক হিসাবে কাজের সাথে একটি সৃজনশীল ক্যারিয়ারকে একত্রিত করতে অক্ষমতার কারণে তিনি এই পদটি ত্যাগ করেন।
অভিনেতা এখন বেঁচে আছেন এবং সেন্ট পিটার্সবার্গে ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত আছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
লেনিনগ্রাদের অ্যাক্টর হাউসে আনোয়ার লিবাবোভ তাঁর একমাত্র স্ত্রী নাটাল্যের সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি তখন থিয়েটার সমালোচক, সাংবাদিক এবং সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসাবে কাজ করেছিলেন। যেমনটি অভিনেতা নিজেই বলেছেন, তিনি এই মহিলাকে প্রথমবার দেখলে বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি তত্ক্ষণাত প্রেমে পড়েছেন। এই দম্পতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিকতা আনেন যখন তাদের একমাত্র কন্যা ইউজিন ইতিমধ্যে স্কুলে ছিল। শিক্ষার দ্বারা একজন শিল্প সমালোচক, এখন তিনি মূলত সংগীত সম্পর্কে বই লেখার শখ এবং আনভারের স্ত্রী একজন সৃজনশীল চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী সর্বদা বেঁচে আছেন এবং এখনও ভালোবাসা এবং সম্প্রীতিতে বাস করেন।
সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের সূচনা
আনভার লিবাবোভ তার পছন্দের ব্যবসায়ের সাথে জড়িত হতে শুরু করেছিলেন - যিনি, অল্প বয়স্ক ছাত্র হিসাবে মঞ্চে খেলা। কেভিএন (মজা ও উদ্ভাবক ক্লাব), এসটিইএম (পপ মিনিয়েচারস স্টুডেন্ট থিয়েটার) এবং বিভিন্ন রচনায় শিক্ষার্থী নাটক থিয়েটারের পরিবেশনা ইত্যাদির মতো বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি তার প্রথম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন।
এমনকি পশুচিকিত্সক হিসাবেও কাজ করে আনোয়ার সৃজনশীলতা ছেড়ে দেননি: তিনি একটি পল্লী গায়কীতে গেয়েছিলেন, লিসিয়াম থিয়েটারের সাথে সহযোগিতা করেছিলেন, যেখানে তাকে পরবর্তী সময়ে কাজের জন্য আমন্ত্রিত করা হয়েছিল।
অভিনেতা হিসাবে 20 টিরও বেশি চলচ্চিত্র, যেখানে তিনি বিভিন্ন জটিলতার ভূমিকা পালন করেছিলেন, প্রায় 15 টি নাট্যর পরিবেশনাতে অভিনয় করেছিলেন এবং 4 নটিলাস-পম্পিলিয়াস, মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গে না-না গ্রুপগুলির কনসার্ট প্রকল্পে অংশ নিয়েছিলেন।
1986 সালে, তিনি প্রথম "একটি তারকা কীভাবে হয়ে উঠুন" সংগীতের মিউজিকাল ফিল্মে একটি ক্লাউন চিত্রিত করেছিলেন। আরও, আনভার লিবাবোভ কেবলমাত্র মাধ্যমিকের ভূমিকা পেয়েছিলেন, যেখানে তাকে বেশি কথা বলার দরকার নেই।
লিবামোভ তাঁর বেশিরভাগ নাটকের ভূমিকা লিসিয়াম থিয়েটারে অভিনয় করেছিলেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্রগুলি হলেন "পোকাতুহা", "ডাক্তার পিরোগফ", "অনিদ্রা", "চুর্দাকি", "স্বপ্ন", "বিপর্যয়", "বার্লিন ওয়াল", যেখানে অভিনেতা বিভিন্ন ছবিতে হাজির হয়েছিলেন নির্দোষভাবে কপিস। আনোয়ার বিভিন্ন ধরণের থিয়েটার "শেল্টার অফ দ্য কমেডিয়ান" (পারফরম্যান্স "নেগামলেট", "একটি জিনিয়াসের ডায়েরি", "লুলু") তেও অভিনয় করেছিলেন। এ। রাইকিন ("এই ক্রেজি, ক্রেজি স্টারস") এবং বোলশোই ড্রামা থিয়েটার ("মাংসের পাউন্ড")।
প্রদর্শিত সৌলন্যাদি
1994 সালে, অভিনেতা নক্ষত্রমণ্ডল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ক্যাসেল চলচ্চিত্রের সেরা সহায়ক ভূমিকার জন্য একটি পুরষ্কার পেয়েছিলেন। আনোয়ার এই ছবিতে ব্যবহারিকভাবে কথা বলেননি তা সত্ত্বেও, তিনি সুন্দর এবং প্রতিভাশালী অভিনয় করতে পেরেছেন।
