প্রাইমেটদের জীবন নিয়ে অধ্যয়নরত বিশেষজ্ঞরা aকমত্যে পৌঁছেছিলেন যে পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান বানর বনোবো (শিম্পাঞ্জির একটি প্রজাতি, একে পিগমি শিম্পাঞ্জিও বলা হয়)। এই প্রজাতিটি আমাদের গ্রহের সমস্ত পরিচিত প্রাণী থেকে মানুষের নিকটতম। বিজ্ঞানীরা কৌতুক করেছেন যে 99.4% বনোবস মানব are
বৈশিষ্ট্য দেখুন
শিম্পাঞ্জির অন্যান্য জাতের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাইমেটের বিভিন্ন ধরণের, বনোবোর বানরে মানুষের মধ্যে অন্তর্নিহিত আচরণগত বৈশিষ্ট্য সর্বাধিক সংখ্যক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকান বিজ্ঞানীরা প্রায় তিন হাজার শব্দ বোঝার জন্য কানজি নামক পিগমি শিম্পাঞ্জিকে শিখিয়েছিলেন। তদুপরি, তিনি জ্যামিতিক চিহ্ন সহ একটি কীবোর্ড ব্যবহার করে 500 শতাধিক শব্দ ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল যেগুলি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে বনোবোই সবচেয়ে বুদ্ধিমান বানর। এই জাতটি ফুটে ওঠে না এবং শিম্পাঞ্জির অন্তর্গত। বনোবস সর্বদা, এমনকি খাবারের সময়ও, সুনির্দিষ্টভাবে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে, একটি বিশেষ সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে যা আজ অবধি বোঝা যায় নি। তাদের মস্তিষ্ক অন্যান্য বানরের চেয়ে অনেক বেশি বিকশিত।
পিগমি শিম্পাঞ্জি অন্যান্য সাইন সিস্টেমগুলি উপলব্ধি করতে সক্ষম। একটি পরীক্ষক 20-30 অক্ষর এবং তাদের শব্দ সমতুল্য স্মরণে একটি বন্দী প্রাণী রাখেন। প্রাইমেট এই ভাষায় বিভিন্ন কমান্ড স্মরণ করে এবং তারপরে, পূর্ববর্তী শোনা না কমান্ডগুলি উচ্চারণ করার সময় কিছু নির্দিষ্ট ক্রিয়া সম্পাদন করে, উদাহরণস্বরূপ: "ঘরটি থেকে চেয়ারটি সরিয়ে দিন", "বলটি ছিঁড়ে ফেলুন" ইত্যাদি। ঠিক আছে, তাহলে সবচেয়ে বুদ্ধিমান বানর এই বক্তব্যকে কে চ্যালেঞ্জ জানাবে? - বনোবস
হোমিনিড এবং শিম্পাঞ্জির শাখাগুলি প্রায় সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন বছর আগে বিভক্ত হয়েছিল। এই প্রজাতিটি সাধারণ শিম্পাঞ্জির চেয়ে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছিল এবং এই কারণে এই প্রাণীগুলি মানুষ এবং শিম্পাঞ্জিতে অন্তর্নিহিত অনেক বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেছিল। তদুপরি, এই বামন বানরটির জিনগুলির সেট 98% দ্বারা মানুষের জিনের সাথে মিলিত হয়। প্রাক-চিকিত্সা ব্যতীত বনোব রক্ত মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হতে পারে। এবং রক্ত, উদাহরণস্বরূপ, একটি সাধারণ শিম্পাঞ্জির অ্যান্টিবডিগুলির প্রাথমিক অপসারণ প্রয়োজন।
বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য
কেন জানা যায় না যে এই প্রাণীটিকে বামন বলা হয়েছিল - বনোবো বানরটি তার সাধারণ আত্মীয়দের তুলনায় আকারে নিকৃষ্ট নয়। পুরুষদের ওজন 35 থেকে 60 কেজি পর্যন্ত হয় তবে প্রায়শই তাদের ওজন 45 কেজি গ্রামে স্থির হয়। মহিলারা যেমন প্রত্যাশিত হন তত বেশি মার্জিত হয়। তাদের ওজন 35 কেজি থেকে বেশি হয় না। একজন প্রাপ্তবয়স্কের বৃদ্ধি প্রায় 115 সেন্টিমিটার হয়।
বনোবো বানর, যার ছবিটি আমরা এই নিবন্ধে পোস্ট করেছি, তার চেয়ে বরং বড় মাথা রয়েছে। সুপারসিিলারি খিলানগুলি চোখের উপরে পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হয় যদিও এগুলি খারাপভাবে বিকশিত হয়। ঠোঁট বাদে পুরো শরীর কালো ত্বকে withাকা থাকে। তারা এই বানরে গোলাপী, একটি অন্ধকার পটভূমি বিরুদ্ধে ভাল দাঁড়িয়ে। উঁচু কপাল, কান ছোট, প্রশস্ত নাকের ছিদ্র। মাথায় লম্বা চুল রয়েছে। অন্যান্য প্রজাতির প্রতিনিধিদের তুলনায় মেয়েদের স্তন্যপায়ী গ্রন্থি বেশি থাকে।
বোনাবো বানরটির পাতলা ঘাড় এবং লম্বা পা বিশিষ্ট একটি দেহ রয়েছে। প্রাণীরা জোরে জোরে শব্দ করছে।
আবাস
বোনাবো বানরটি আমাদের গ্রহের একমাত্র জায়গায় থাকে। এটি কঙ্গো বেসিনে (মধ্য আফ্রিকা) অবস্থিত। প্রায় পাঁচ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার পরিমাপের এই অঞ্চলটি ঘন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদে আবৃত। আজ, এই প্রজাতির প্রায় পঞ্চাশ হাজার প্রতিনিধি এখানে বাস করেন।
আচরণ
Bonobos শেয়ার্ড থাকার ব্যবস্থা পছন্দ করে। তাদের সংখ্যা একশত ব্যক্তির (বয়স্ক এবং শাবক) পৌঁছেছে। তাদের ছোট আকারের পরেও, পুরুষদের তুলনায়, মহিলাদের একটি সামাজিক অবস্থান বেশি higher এটি "মহিলা" বিপরীত লিঙ্গের প্রতিনিধিদের চেয়ে বেশি সংহত এবং সংগঠিত এই সত্যের কারণেই is যদি মহিলাটি পুরুষের সাথে বিরোধে আসে, তবে অন্যান্য মহিলারা তত্ক্ষণাত্ তার প্রতিরক্ষার দিকে ছুটে যান এবং কেউই পুরুষটিকে রক্ষা করেন না।
দিনের বামনে শাম্পাঞ্জিরা ছোট ছোট দলে সময় কাটায় এবং "যোগাযোগ" করে এবং যখন রাতের ঘুমের সময় আসে তখন পরিবারটি itesক্যবদ্ধ হয়। একটি নিয়ম হিসাবে, এই বানররা গাছের ডালগুলিতে তৈরি করে বাসাগুলিতে রাত কাটায়। অন্যান্য প্রাথমিকের তুলনায়, তাদের দলে এত কঠোর সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস নেই।
বিনোদন
সমস্ত বানর খেলতে পছন্দ করে। তবে বনোবস এই সমস্যাটিকে "পেশাদারভাবে" কাছে নিয়েছেন। তারা বিশেষত উদ্ভাবক। অল্প বয়স্করা নিয়মিত মজাদার মুখগুলি তৈরি করে এবং কাছাকাছি কোনও দর্শক না থাকলেও সত্যিকারের প্যান্টোমাইমগুলি খেল।
বনোবস কীভাবে মজা করেছিলেন তা পর্যবেক্ষকরা বর্ণনা করেন: বানর চোখের পাতা কলা পাতার টুকরো দিয়ে বা তাদের হাত দিয়ে বন্ধ করে এবং ঘুরতে শুরু করে, আত্মীয়দের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বা ঝাঁপিয়ে পড়ে - যতক্ষণ না পড়ে যায় তার ভারসাম্য হারাতে থাকে। কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে তিনি তার আকর্ষণীয় পেশা চালিয়ে যান continued
সম্ভবত, বনোবো বানরটি আমাদের প্রাচীন সাধারণ পূর্বপুরুষদের অন্তর্নিহিত কিছু বৈশিষ্ট্য কম সংশোধিত আকারে সংরক্ষণ করেছে। এটা সুস্পষ্ট যে আমাদের পূর্বপুরুষদের সামাজিক সম্পর্কের পুনর্গঠন এবং তাদের আচরণগুলি বনোবস এবং শিম্পাঞ্জি উভয়ের মধ্যে অন্তর্নিহিত আচরণগত বৈশিষ্ট্যগুলি বিবেচনায় না নিয়ে সম্পূর্ণ হবে না।
খাদ্য
বনোবো বানর সর্বজ্ঞ। তাদের ডায়েটের বেশিরভাগ অংশই ফল। তদতিরিক্ত, তারা গাছপালা এবং invertebrates খাওয়া। তাদের মেনু এবং প্রাণী খাদ্য একটি ছোট অংশ উপস্থাপন করুন। তারা ছোট অ্যান্টেলোপস, কাঠবিড়ালি ইত্যাদির সাথে মোকাবেলা করবে
দীর্ঘদিন যাবত এই প্রাণীদের জীবন পর্যবেক্ষণ করে আসা জাপানি বিজ্ঞানীরা যুক্তি দেখান যে এই বানরদের মধ্যে নরমাংসবাদ বিদ্যমান, যে কোনও ক্ষেত্রে তারা এই জাতীয় একটি পর্ব রেকর্ড করেছিল। ২০০৮ সালে, প্রাপ্তবয়স্ক বানররা একটি মৃত বাচ্চা খেয়েছিল।
প্রতিলিপি
এই প্রজাতির জন্মের হার খুব কম। মহিলারা প্রতি চার থেকে ছয় বছরে একবার জন্ম দেয়। মাত্র একটি বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে। গর্ভাবস্থা প্রায় দুইশত চল্লিশ দিন স্থায়ী হয়। একজন যত্নশীল মা তিন বছর ধরে তার বাচ্চাকে খাওয়ান। বনোবসের বয়ঃসন্ধি শুধুমাত্র তের বছর বয়সে। এটি আকর্ষণীয় যে সারা জীবন, বাচ্চাগুলি তাদের মায়ের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক বজায় রাখে। ভিভোতে বনবো বানর প্রায় চল্লিশ বছর বেঁচে থাকে। বন্দী অবস্থায় (চিড়িয়াখানায়) তারা ষাট বছর অবধি বেঁচে থাকে। বন্দিদশায় থাকা কোনও প্রাণী প্রাকৃতিক পরিবেশের চেয়ে বেশি সময় বেঁচে থাকলে এটি খুব বিরল ঘটনা। এবং আরও একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য - বনোবস কখনও এসআইভি বিকাশ করে না - ইমিউনোডেফিসি ভাইরাস (বানর)।
জনসংখ্যা
আজ, বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই অনন্য প্রাণীর ভাগ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। সক্রিয় বন উজাড়, মধ্য আফ্রিকায় অস্থিতিশীলতা এই প্রজাতির মঙ্গলকে অবদান রাখে না। এখন গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনাঞ্চলে বনোবসের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, এই প্রজাতির পুনরুত্পাদন স্তর খুব কম small
বিশ্বের বুদ্ধিমান বানর
আমাদের গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীর তালিকা নিঃশর্তে অ্যানথ্রোপয়েডগুলির দ্বারা পরিচালিত। তবে তাদের মধ্যে এমন অসামান্য প্রতিনিধিও রয়েছে যারা এমন দক্ষতার অধিকারী হন যে সন্দেহের কোনও ছায়া নেই যে তাদের কাছে এমন একটি বুদ্ধি রয়েছে যা মানুষের কাছাকাছি।
2007 সালে, বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান বানর মারা গেল - শিম্পাঞ্জি ওয়াশো। তাঁর বয়স ছিল 42 বছর। সাইন ভাষা ব্যবহার করে "কথা বলার" জন্য এটি প্রথম ব্যক্তি ছিলেন representative সম্পূর্ণ যোগাযোগের জন্য, এই অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত-বুদ্ধিমান বানরটির কেবলমাত্র গলা এবং ভোকাল কর্ডের অভাব ছিল যা প্রকৃতি এটিকে বঞ্চিত করে।
