আজ, অনেক দেশই সরকারকে একটি ফর্ম হিসাবে গণতন্ত্রকে বেছে নিয়েছে। প্রাচীন গ্রীক ভাষা থেকে, "গণতন্ত্র" শব্দটি "জনগণের শক্তি" হিসাবে অনুবাদ করা হয়, যার অর্থ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং তাদের প্রয়োগের সম্মিলিতভাবে গ্রহণ। রাষ্ট্রীয় বিষয়গুলির পরিচালনা যখন একজন ব্যক্তির হাতে থাকে - নেতাদের হাতে তখন এটি কর্তৃত্ববাদ ও সর্বগ্রাসবাদ থেকে পৃথক হয়। এই নিবন্ধটি সংসদীয় গণতন্ত্র কী তা নিয়ে আলোচনা করবে।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা
এই জাতীয় সরকারকে সংসদ সদস্যতা হিসাবে বিবেচনা করার জন্য, সামগ্রিকভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত, এটি কী। গণতন্ত্র নিজেই দুটি ধরণের হতে পারে: প্রত্যক্ষ এবং প্রতিনিধি। প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রকে প্রকাশ করার মাধ্যম হ'ল জনগণের স্বার্থের প্রকাশ, রেফারেন্ডা, ধর্মঘট, সমাবেশ, স্বাক্ষর সংগ্রহ ইত্যাদির মাধ্যমে এই ক্রিয়াকলাপের উদ্দেশ্য কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করা, জনগণ তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সরাসরি প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে, নাগরিকরা নিজেরাই কিছু আগ্রহী মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তা না নিয়ে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রতিনিধি গণতন্ত্র প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের থেকে পৃথক যে জনগণ স্বতন্ত্র ও প্রত্যক্ষভাবে নয়, বরং তারা বেছে নেওয়া মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় রাষ্ট্রের রাজনৈতিক জীবনে অংশ নেয়। ডেপুটিগুলি আইনসভায় নির্বাচিত হন, যার দায়িত্বগুলির মধ্যে রয়েছে নাগরিকের স্বার্থ রক্ষা করা। সংসদীয় গণতন্ত্র এ জাতীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার অন্যতম সর্বোত্তম উদাহরণ।
সংসদীয়তা কী
সংক্ষেপে বলা যায়, সংসদীয়তা হ'ল এই জাতীয় সরকার, যখন আইনসভায় সভাপতিত্বকারীরা সরকার কর্তৃক নির্বাচিত হন এবং তাদের সদস্য নিয়োগ করেন। সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট নিয়ে তারা দলের সদস্যদের কাছ থেকে নিযুক্ত হন। সংসদীয় গণতন্ত্র হিসাবে সরকারের এ জাতীয় রূপ কেবল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকা রাজ্যেই সম্ভব নয়। রাজতান্ত্রিক দেশগুলিতে এটি বিদ্যমান থাকতে পারে তবে এক্ষেত্রে শাসকের বিস্তৃত ক্ষমতা নেই। আমরা বলতে পারি যে সার্বভৌম শাসন করে, তবে কোনও রাষ্ট্র-গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় না, তার ভূমিকা ন্যূনতম এবং পরিবর্তে, প্রতীকী: এটি কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া, traditionsতিহ্যের একটি শ্রদ্ধা। এটি লক্ষ করা উচিত যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার অস্তিত্ব, যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয়, সংসদ সদস্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি আদর্শ শর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।
এছাড়াও, এই জাতীয় গণতন্ত্র একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোর মধ্যে বিদ্যমান থাকতে পারে, যার অর্থ রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাচন করার জন্য ক্ষমতার একটি প্রতিনিধি সংস্থার সম্ভাবনা। তবে মাথার কাজগুলি সরকারী কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সরাসরি সম্পাদন করতে পারেন।
সংসদীয়তা: বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া
সংসদীয় গণতন্ত্র হিসাবে এ জাতীয় ধরণের রাষ্ট্রব্যবস্থা উপলব্ধি করা প্রক্রিয়াটির সারমর্মটি নির্বাচনী এলাকাগুলিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্যেই নিহিত। উদাহরণ হ'ল মার্কিন কংগ্রেস। সরকারের একক প্রতিনিধি - কংগ্রেসম্যান - প্রায় সমান সংখ্যক ভোটারদের স্বার্থ প্রকাশ করার জন্য, প্রতি দশকে ভোটের অধিকার সহ নাগরিক সংখ্যা গণনা করার জন্য নির্বাচনী এলাকার সীমানা পর্যালোচনা হয়।
ডেপুটিগুলির প্রার্থীরা প্রধানত এমন দলগুলি দ্বারা মনোনীত হন যা বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর সমর্থন নিয়ে সমাজের রাজনৈতিক মেজাজ চিহ্নিত করতে দুর্দান্ত কাজ করছে। তারা সর্বজনীন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, প্রচারণার উপকরণগুলি ছড়িয়ে দেয় এবং নাগরিক সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়।
ভোটদানের ফলে, সংসদে পাস হওয়া দলগুলির ডেপুটিগুলি তথাকথিত "দলগুলি" গঠন করে। সর্বাধিক সংখ্যক ভোট প্রাপ্ত রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেপুটি রয়েছে। এই দলের পক্ষ থেকেই ক্ষমতাসীন দল নিযুক্ত করা হয় - সে প্রধানমন্ত্রী হোক বা অন্য প্রাসঙ্গিক পদ যেমন থাকুক না কেন, সরকারের সদস্যরাও থাকবেন। ক্ষমতাসীনরা রাজ্যে তার নীতি অনুসরণ করে এবং সংখ্যালঘুতে যারা থাকে তারা সংসদীয় বিরোধী দলকে প্রতিনিধিত্ব করে।
রাষ্ট্রপতিত্ব কী?
রাষ্ট্রপতি গণতন্ত্র হ'ল সংসদতন্ত্রের বিরোধী। এই জাতীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার সারমর্মটি হ'ল সরকার ও সংসদ কর্তৃক গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপই রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণে থাকে। রাষ্ট্রপ্রধানকে দেশের নাগরিকরা নির্বাচিত করেন। কিছু বিদ্বান বিশ্বাস করেন যে এই ধরণের শক্তি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারণাকে বিপদে ফেলে এবং সর্বগ্রাসীবাদে চলে যেতে পারে, যেহেতু অনেক সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নেওয়া হয়, এবং সংসদের অনেক কম ক্ষমতা রয়েছে।
সংসদীয়তার যোগ্যতা
একটি আধুনিক রাষ্ট্রের সরকার রূপ হিসাবে সংসদীয় গণতন্ত্রের বেশ কয়েকটি ইতিবাচক দিক রয়েছে। প্রথমত, এটি খোলামেলাতা এবং প্রচার। প্রতিটি সংসদ সদস্য তার কর্ম ও কথার জন্য দায়ী, কেবল তার দলের নয়, তাকে নির্বাচিত নাগরিকদেরও। জনগণের কাছ থেকে ডেপুটিয়ের পৃথকীকরণ বাদ দেওয়া হয়, যেহেতু তাঁর জায়গাটি তাকে চিরতরে বরাদ্দ করা হয় না - জনসংখ্যার সাথে বৈঠক, চিঠিপত্র, আবেদন গ্রহণ এবং অন্যান্য মিথস্ক্রিয়তার পদ্ধতি বাধ্যতামূলক। দ্বিতীয়ত, সংসদীয় ধরণের গণতন্ত্র কেবল "শাসক" দলের মধ্যে নয়, বিরোধীদের মধ্যেও সমান অধিকারের অস্তিত্বকে বোঝায়। প্রত্যেকেরই বিতর্কে মতামত প্রকাশ করার এবং যে কোনও প্রকল্প এবং প্রস্তাব জমা দেওয়ার অধিকার রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুর অধিকার সুরক্ষিত।
সংসদীয় গণতন্ত্রের ত্রুটি
অন্য যে কোনও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মতোই সংসদ সদস্যদেরও অনেকগুলি দুর্বলতা রয়েছে। রাজনৈতিক বিজ্ঞানীরা প্রায়শই এই জাতীয় গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রপতিত্বের সাথে তুলনা করেন। এর সাথে সম্পর্কিত সংসদীয় গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগত দুর্বলতা ও দুর্বলতা রয়েছে।
- এই জাতীয় সরকার ছোট রাজ্যে সুবিধাজনক। আসল বিষয়টি হ'ল ভোটাররা তাদের পছন্দ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রার্থীর সর্বাধিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে to ছোট, স্থিতিশীল দেশে এটি কার্যকর করা সহজ - তবে আবেদনকারী সম্পর্কে জ্ঞান আরও সম্পূর্ণ হবে be
- দায়িত্ব পুনরায় বিতরণ। ভোটাররা সংসদ সদস্য নিয়োগ করেন এবং তারা পরিবর্তে মন্ত্রীদের মন্ত্রিপরিষদ গঠন করে এবং তাকে বেশ কিছু দায়িত্ব অর্পণ করেন। ফলস্বরূপ, ডেপুটি এবং সরকারী সদস্য উভয়ই কেবল ভোটারদের নয়, যে দলগুলি তাদের মনোনীত করেছে তাদেরও খুশি করার চেষ্টা করছে। এটি একটি "দ্বি-ক্ষেত্রের খেলা" রূপান্তরিত করে যা কখনও কখনও অসুবিধার দিকে পরিচালিত করে।
সংসদীয় গণতন্ত্র সহ রাষ্ট্রসমূহ
আজ, বিশ্বে বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন ক্ষমতার প্রতিনিধি প্রতিনিধিত্ব করা হয়, গণতান্ত্রিক এবং উদারপন্থী থেকে শুরু করে, সর্বগ্রাসী শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটে। সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশগুলির একটি দুর্দান্ত উদাহরণ হ'ল যুক্তরাজ্য। ইংরেজী সরকারের প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী, এবং রাজকেন্দ্র শাসন করে তবে সরকারী সিদ্ধান্ত নেয় না এবং দেশের প্রতীক হিসাবে কাজ করে। দুটি ব্রিটিশ দল - রক্ষণশীল এবং শ্রম - সরকারী সংস্থা গঠনের অধিকারের জন্য লড়াই করছে।
ইউরোপের আরও অনেক রাজ্য সংসদীয় গণতন্ত্রকে সরকার রূপ হিসাবে বেছে নিয়েছে। এটি ইতালি, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পাশাপাশি আরও অনেক।
