প্রত্যেকে এই আন্তঃসরকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক-রাজনৈতিক ইউনিয়ন সম্পর্কে শুনেছেন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সম্মিলিত সুরক্ষা - এটি ন্যাটো নামে জোটের মূল নীতি। এতে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির তালিকায় বর্তমানে মোট 28 টি রাজ্য রয়েছে। এগুলির সবকটি একচেটিয়াভাবে বিশ্বের দুটি অংশে অবস্থিত - উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপে।
লক্ষ্য, কার্য এবং সংস্থার কাঠামো
ন্যাটো (ইংরেজি "উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থার সংক্ষিপ্তসার") ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলির একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। সামরিক-রাজনৈতিক জোটের মূল লক্ষ্য ইউনিয়নে অংশ নেওয়া সমস্ত দেশের স্বাধীনতা এবং সামরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এই কাঠামোর সমস্ত কার্যক্রম গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার পাশাপাশি আইনের শাসনের নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে।
সংগঠনটি রাজ্যগুলির সম্মিলিত সুরক্ষার নীতির উপর ভিত্তি করে। অন্য কথায়, জোটের অন্যতম সদস্য দেশ আগ্রাসন বা সামরিক আগ্রাসনের ঘটনায় ন্যাটো অন্যান্য সদস্যদের এই সামরিক হুমকির জন্য যৌথভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। এছাড়াও, জোটের কার্যক্রম অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সেনাবাহিনীর নিয়মিত যৌথ সামরিক অনুশীলনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
সংগঠন কাঠামো তিনটি প্রধান সংস্থা দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়। এটি হ'ল:
- উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিল;
- প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা কমিটি;
- পারমাণবিক পরিকল্পনা কমিটি।
ন্যাটো সদস্য দেশগুলি কেবল সামরিক ক্ষেত্রে নয়, সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে যেমন বাস্তু, বিজ্ঞান, জরুরী পরিস্থিতি ইত্যাদিতেও সহযোগিতা করে।
জোটের কাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল এর সদস্যদের মধ্যে পরামর্শ। সুতরাং, যে কোনও সিদ্ধান্ত কেবল sensকমত্য দ্বারা নেওয়া হয়। অর্থাত্, অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশকেই সংস্থার এক বা অন্য সিদ্ধান্তের পক্ষে ভোট দিতে হবে। কখনও কখনও কিছু বিষয়ে আলোচনা দীর্ঘ সময়ের জন্য টানা থাকে তবে প্রায় সবসময় ন্যাটো conকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়।
জোটের সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের ইতিহাস
সামরিক-রাজনৈতিক জোট গঠনের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রায় অব্যবহিত পরে শুরু হয়েছিল। শীর্ষস্থানীয় শক্তির প্রধানগণ একটি নতুন সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার জন্য দুটি প্রধান কারণ Histতিহাসিকরা বলেছেন। প্রথমটি হ'ল যুদ্ধ-পরবর্তী জার্মানিতে নাজি আন্দোলনের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি এবং দ্বিতীয়টি পূর্ব এবং মধ্য ইউরোপের দেশগুলিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
ফলস্বরূপ, 1949 সালের 4 এপ্রিল, ওয়াশিংটনে তথাকথিত উত্তর আটলান্টিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ন্যাটো সংক্ষিপ্তভাবে একটি নতুন জোট গঠনের সূচনা করে marked এই দস্তাবেজে স্বাক্ষরকারী দেশগুলির তালিকাতে মোট 12 টি রাষ্ট্র রয়েছে। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, পর্তুগাল, নরওয়ে, বেলজিয়াম, গ্রেট ব্রিটেন, ডেনমার্ক, ইতালি, আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং লাক্সেমবার্গে পরিণত হয়েছে। তারা এই শক্তিশালী সামরিক-রাজনৈতিক ব্লকের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিবেচিত হয়।
পরবর্তী বছরগুলিতে, অন্যান্য রাজ্যগুলি ন্যাটো ব্লকে যোগদান করেছিল। জোটের বৃহত্তম পুনঃসংশোধন 2004 সালে হয়েছিল, যখন East পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি ন্যাটো সদস্যদের নতুন সদস্য হয়েছিল। বর্তমানে জোটের ভূগোল পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকে। সুতরাং, সম্প্রতি, জর্জিয়া, মোল্দোভা এবং ইউক্রেনের মতো দেশগুলির প্রধানরা ন্যাটোতে যোগদানের তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কথা বলেছেন।
এটি লক্ষ করা উচিত যে স্নায়ুযুদ্ধের সময়, ন্যাটো এর চিত্রটি ইচ্ছাকৃতভাবে সোভিয়েত প্রচার দ্বারা অসুর করা হয়েছিল। ইউএসএসআর কৃত্রিমভাবে জোটটিকে তার প্রধান শত্রু করেছিল। এটি সোভিয়েত-পরবর্তী বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের ব্লকের নীতিগুলির জন্য বরং কম সমর্থনকে ব্যাখ্যা করে।
ন্যাটো: দেশগুলির তালিকা এবং জোটের ভূগোল
কোন রাষ্ট্র আজ এই আন্তর্জাতিক সংস্থার অঙ্গ? সুতরাং, সমস্ত ন্যাটো দেশকে (২০১৪ সালের জন্য) জোটে প্রবেশের কালক্রমিক ক্রমে নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে:
- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র
- কানাডা;
- ফ্রান্স;
- পর্তুগাল;
- নরওয়ের কিংডম;
- বেলজিয়াম কিংডম;
- গ্রেট ব্রিটেন
- ডেনমার্কের রাজ্য;
- ইতালি;
- আইসলণ্ড;
- নেদারল্যান্ডস;
- লুক্সেমবার্গের ডাচি;
- তুরস্ক;
- হেলেনিক প্রজাতন্ত্র
- ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের জার্মানি;
- স্পেন;
- পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র;
- চেক প্রজাতন্ত্র
- হাঙ্গেরি;
- বুলগেরিয়া প্রজাতন্ত্র;
- রুমানিয়া;
- শ্লোভাকিয়া;
- স্লোভানিয়া;
- এস্তোনিয়া;
- লাত্ভিয়া;
- লিত্ভা;
- ক্রোয়েশিয়া;
- আলবেনিয়া প্রজাতন্ত্র।
সামরিক-রাজনৈতিক ইউনিয়নে এককভাবে ইউরোপীয় দেশগুলির পাশাপাশি উত্তর আমেরিকার দুটি রাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নীচে আপনি দেখতে পারবেন যে সমস্ত ন্যাটো দেশ কীভাবে বিশ্বের মানচিত্রে অবস্থিত।
